ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৫:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৬
  • ৩৯১ বার

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি আরো বলেন, এ লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাসহ সার্বিক উন্নয়ন অপরিহার্য।

ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশবাসী এবং প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

এছাড়াও, তিনি মুজিবনগর সরকার পরিচালনায় নেতৃত্বদানকারী জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ. এইচ. এম কামারুজ্জামানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক-সংগঠকসহ সর্বস্তরের জনগণ যাঁরা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য অবদান রেখেছেন তাদেরকেও সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও ভূমিকা অপরিসীম।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ২৬ মার্চ ঘোষিত স্বাধীনতা দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারির মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে মুজিবনগর সরকার শপথ নেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যাত্রা শুরু করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাসহ বিশ্ব দরবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের সহায়তা, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও সহায় সম্বলহীন জনগণের পাশে দাঁড়ানোসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি বলেন, এ সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্র্রুত সফল পরিসমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায় এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সহযোগিতা করেছিলেন তাঁদের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে তিনি স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, জাতি ইতোমধ্যে জাতীয় জীবনে নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, বেসরকারি খাতে উন্নয়নসহ বিভিন্ন অগ্রগতি অর্জন করেছে। সরকার এ উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছে এবং এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের নিকট সঠিকভাবে তুলে ধরা সকলের আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন, দেশের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার পাশাপাশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতিগঠনমূলক কাজে অবদান রাখবে ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে

আপডেট টাইম : ০১:০৫:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৬

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি আরো বলেন, এ লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাসহ সার্বিক উন্নয়ন অপরিহার্য।

ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশবাসী এবং প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

এছাড়াও, তিনি মুজিবনগর সরকার পরিচালনায় নেতৃত্বদানকারী জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এ. এইচ. এম কামারুজ্জামানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক-সংগঠকসহ সর্বস্তরের জনগণ যাঁরা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য অবদান রেখেছেন তাদেরকেও সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও ভূমিকা অপরিসীম।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ২৬ মার্চ ঘোষিত স্বাধীনতা দৃঢ়ভাবে সমর্থন ও অনুমোদন করেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারির মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে মুজিবনগর সরকার শপথ নেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যাত্রা শুরু করে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাসহ বিশ্ব দরবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি, শরণার্থীদের সহায়তা, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ও সহায় সম্বলহীন জনগণের পাশে দাঁড়ানোসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনায় নবগঠিত এ সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি বলেন, এ সরকারের যোগ্য নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় মুক্তিযুদ্ধ দ্র্রুত সফল পরিসমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায় এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সহযোগিতা করেছিলেন তাঁদের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে তিনি স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, জাতি ইতোমধ্যে জাতীয় জীবনে নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি, বেসরকারি খাতে উন্নয়নসহ বিভিন্ন অগ্রগতি অর্জন করেছে। সরকার এ উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ ঘোষণা করেছে এবং এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের নিকট সঠিকভাবে তুলে ধরা সকলের আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন, দেশের তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার পাশাপাশি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতিগঠনমূলক কাজে অবদান রাখবে ।